হাফিজুর রহমান
ছেদন তলার মদন মোহন, জাল ফেলে মাছ
ধরে খাল নদী ঝিলে
যেদিন যে ডাকে, যা জুটে তাও
আবার ভাগ্যদেবীর আশীর্বাদে।
কোনদিন খালি হাতেও ফিরতে হয়, কাঁধে
জাল শীর্ণ মানুষটায়
ভাঙ্গা ঘরের জীর্ণ উঠানে। গিলতে হয় সান্ত্বনা,
আজ না হয়
কাল তো হবেই, জলের পোকাও কখনও
কখনও দেয় ধোকা!
এভাবেই ধোকায় বোকা হয়ে অভাব স্বভাবের সাথে
মিলেমিশে
চলে সংসার, হাওয়ায় ভরসা করে
চালাতে হয় অলিখিত যুদ্ধ
পায়ে বাঁধা বেড়ি, বৈঠাহীনে
পালতোলা জীবন নামের তরী।
পুত্র সন্তান, গরীবের ঘরের
সম্পদ! টাকা বানানোর মেশিন!
ভগবান ওরে মেশিন দেয়নি আশায় ভাসাতে দিয়েছে কেরোসিন,
হাফ ডজন প্রদীপ জ্বালাতে। যা আলো ছড়ায় ঠিকই
কিন্তু-
কালো করে সলতে পরের ঘরের, সিঁথিতে
সিঁদুর নিতে।
ঘুমাতে পারেনা মোহন হতাশায়, ডুবে
থাকে দুশ্চিন্তায় সবসময়
কি হবে, কেমন করে ? কিছু পেতে হলে তো দিতেও হয়,
স্বপ্নগুলো নিরাকার যেন নির্বোধ প্রাণে শুধুই
অন্ধকার।
তার উপর, নির্লজ্জ চিল
শকুনের উৎপাত! ওরা মানে না
দেখেও না জাত-বেজাত, সব শ্রেণীর
লালসা ঠিক একইরকম!
টেনে, কিংবা সস্তায় কেনা ভোগবস্তু, কেউ
বা খেতে চায় ছিঁড়ে।
অভাবগ্রস্থ দেহে বস্ত্রের বড় দৈন্যতা, কিছু
নগ্ন চোখের দৃষ্টিশূল
সে তো, নারীর লজ্জার জায়গাগুলোয় বিদ্ধ করে
প্রতিনিয়ত।
সদা বিচ্ছেদে লিপ্ত কাজহীন ছেদন তলার মানুষ,
আড্ডা জমায়-
কুৎসা রটায় ঘরে ঘরে বেশ্যা বানাতে! সংস্কারের
সৎকার করতে
এখানেই জন্ম সমাজপতির, কুটির ভেঙ্গে বিলীন করে বানাবে নীড়,
খ্যতির চূড়ায় উঠে সেই তো নিবে সফলতার সনদ, উঁচু করে শির।
0 Reviews:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন